, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কামরুল হুদার পক্ষে নির্বাচনী গণমিছিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় দৈনিক বর্তমান বাংলার প্রতিনিধি সভা এবং পরিচয় পত্র বিতরণ সম্পন্ন চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম এর কমিটি গঠন চৌদ্দগ্রামের বাতিসায় বিএনপি’র ওয়ার্ড সেক্রেটারি সহ বহু নেতাকর্মীর জামায়াতে যোগদান ওসমান হাদীর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে চৌদ্দগ্রামে এনসিপি’র মানববন্ধন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে তার জন্মস্থান নলছিটিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা,দোষীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম চৌদ্দগ্রামে কনকাপৈত ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যাগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকের পায়ের সফল অস্ত্রোপচার চৌদ্দগ্রামকে শান্তির জনপদ হিসেবে গড়তে দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষে ভোট দিন : কামরুল হুদা চৌদ্দগ্রামে পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবকের উপর হামলা-বেধড়ক মারধর, থানায় অভিযোগ

গফরগাঁওয়ে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

 

 

ময়মনসিংহের গফ উপজেলার পাগলা থানা লংগাইর ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের লংগাইর গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ শিরিনা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অধীনে কার্ড নং ০৭৭ ভিডব্লিউবি হিসাব নাম্বার করা নাই। সেপ্টেম্বর ২০২৪ হইতে অক্টোবর ২০২৪ বিজিডি চাল বিতরণের সময় মাসিক সঞ্চয় ২০০ শত টাকা করে, ৪০০ শত টাকা সঞ্চয় জমা দিলেও এনজিও কর্মী মোঃ জাকির হোসেন ২০০ শত টাকা কার্ডে জমা করেন। একই ভাবে নভেম্বর ২০২৪ হইতে ডিসেম্বার ২০২৪ মাসে ৪০০ শত টাকার জায়গায় জালিয়াতি করে ২০০ টাকা জমা করেন।

 

প্রতি মাস থেকে ভিজিডি কার্ডের চাল উত্তোলনের নামে তার কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নেন। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে মোট ৯০০ টাকা এবং ডিসেম্বর মাসে ৫০০ টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে আরও ৪০০ টাকা হাতিয়ে নেন বলেও উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী।

 

এধরণের ভিডব্লিউবি কার্ডের ভুক্তভোগী যারা অভিযোগ করেছেন, আংশিক তুলে ধরা হলোঃ- সুমি খাতুন ০৬৮, মোছাঃ শামীমা ৬৫, মোছাঃ মাসতুরা কার্ডের সিরিয়াল নাম্বার নেই কিন্তু আইডি নাম্বার ৬৮৭৯১৩১৩৫৪, মোছাঃ বিথী ০৬৬, মোছাঃ মাজেদা খাতুন ০৬৯, মোছাঃ পারুল ১১৮, মোছাঃ বেদেনা ১১৬, মোছাঃ সালমা ০০৬ ও মোছাঃ মাকসুদা ০১০ নাম্বার বইগুলোতে সঞ্চয় দুই জায়গায় ৪০০ টাকা করে লিখে কেটে দিয়ে আবার ২০০ টাকা লিখেন “অংক ও কথায়”। সঞ্চয় বইয়ে গড়মিল থাকায় ভুক্তভোগীদের সন্দেহ হয় বলে জানায়।

 

উপজেলায় ভিডব্লিউবি কার্ড বিজিডি২৫০২টি। প্রতি কার্ডে ৬০০ টাকা করে বেশি নিয়ে ১৫০১২০০ টাকা ২ বছরে ৩,০০২,৪০০ টাকা নিজের পকেট ভারী করে বলে জানা যায়।

 

মোছাঃ শিরিনা অভিযোগে জানান, তিনি ইউপি সদস্যের কথামতো চাল উত্তোলনের জন্য টাকা দিলেও প্রকৃত চাল পাননি। বরং নিয়মিতভাবে টাকা আদায় করে তাকে হয়রানি করা হয়েছে।

 

এবিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা আক্তার ও এনজিও কর্মী জাকির হোসেনকে একাধিক বার মুঠোফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কামরুল হুদার পক্ষে নির্বাচনী গণমিছিল অনুষ্ঠিত

গফরগাঁওয়ে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

ময়মনসিংহের গফ উপজেলার পাগলা থানা লংগাইর ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের লংগাইর গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ শিরিনা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অধীনে কার্ড নং ০৭৭ ভিডব্লিউবি হিসাব নাম্বার করা নাই। সেপ্টেম্বর ২০২৪ হইতে অক্টোবর ২০২৪ বিজিডি চাল বিতরণের সময় মাসিক সঞ্চয় ২০০ শত টাকা করে, ৪০০ শত টাকা সঞ্চয় জমা দিলেও এনজিও কর্মী মোঃ জাকির হোসেন ২০০ শত টাকা কার্ডে জমা করেন। একই ভাবে নভেম্বর ২০২৪ হইতে ডিসেম্বার ২০২৪ মাসে ৪০০ শত টাকার জায়গায় জালিয়াতি করে ২০০ টাকা জমা করেন।

 

প্রতি মাস থেকে ভিজিডি কার্ডের চাল উত্তোলনের নামে তার কাছ থেকে নিয়মিত টাকা নেন। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে মোট ৯০০ টাকা এবং ডিসেম্বর মাসে ৫০০ টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে আরও ৪০০ টাকা হাতিয়ে নেন বলেও উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী।

 

এধরণের ভিডব্লিউবি কার্ডের ভুক্তভোগী যারা অভিযোগ করেছেন, আংশিক তুলে ধরা হলোঃ- সুমি খাতুন ০৬৮, মোছাঃ শামীমা ৬৫, মোছাঃ মাসতুরা কার্ডের সিরিয়াল নাম্বার নেই কিন্তু আইডি নাম্বার ৬৮৭৯১৩১৩৫৪, মোছাঃ বিথী ০৬৬, মোছাঃ মাজেদা খাতুন ০৬৯, মোছাঃ পারুল ১১৮, মোছাঃ বেদেনা ১১৬, মোছাঃ সালমা ০০৬ ও মোছাঃ মাকসুদা ০১০ নাম্বার বইগুলোতে সঞ্চয় দুই জায়গায় ৪০০ টাকা করে লিখে কেটে দিয়ে আবার ২০০ টাকা লিখেন “অংক ও কথায়”। সঞ্চয় বইয়ে গড়মিল থাকায় ভুক্তভোগীদের সন্দেহ হয় বলে জানায়।

 

উপজেলায় ভিডব্লিউবি কার্ড বিজিডি২৫০২টি। প্রতি কার্ডে ৬০০ টাকা করে বেশি নিয়ে ১৫০১২০০ টাকা ২ বছরে ৩,০০২,৪০০ টাকা নিজের পকেট ভারী করে বলে জানা যায়।

 

মোছাঃ শিরিনা অভিযোগে জানান, তিনি ইউপি সদস্যের কথামতো চাল উত্তোলনের জন্য টাকা দিলেও প্রকৃত চাল পাননি। বরং নিয়মিতভাবে টাকা আদায় করে তাকে হয়রানি করা হয়েছে।

 

এবিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা আক্তার ও এনজিও কর্মী জাকির হোসেনকে একাধিক বার মুঠোফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।