
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চন্ডীপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই আওয়ামী নেতাদের উত্থান হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের আমলে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নানা অপকর্মের কথা এখন স্থানীয়দের মুুখে মুখে। একসময় চন্ডীপুর ইউনিয়ন এ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান কামাল ভুঁইয়া, জি,এস নজরুল, হুমায়ুন, রাকিবুল হাসান মাসুদ, জাহাঙ্গীর শেখ, ইকবাল পাটাওয়ারী, কামাল পন্ডিত, ফারুক আইস, খিজির আহমেদ, ইসমাইল ফরাজি সহ অনেকেই।
এরা সবাই ‘ভয়ঙ্কর’ এক চরিত্রের নাম। ক্ষমতা এবং দলীয় প্রভাবের ভয়ে এতদিন কেউ মুখ খোলার সাহস না পেলেও এখন ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে তার অপকর্মের ইতিহাস।
অভিযোগ আছে, এদের ছত্রছায়ায় এলাকায় গড়ে উঠে ত্রাসের রাজত্ব। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক, চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অপকর্ম।
অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের অসহযোগিতা ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এরা দিনকে দিন হয়ে উঠছিলো বেপরোয়া। এলাকাবাসীর একাংশ বলছে, এদের বিরুদ্ধে কথা বললেই হুমকি আসতো, আসতো সন্ত্রাসী বাহিনীর চাপ। শুধু মাদক নয়, পুরো একটি প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে এমন অপরাধীরা।
এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলো এলাকার সাধারণ জনগণ । এরা ছিলো সমাজের বিষফোঁড়া। মাদক,অস্ত্র, চুরি, ডাকাতি সহ আরো নানান অপকর্মে সংগঠিত এই বাহিনী এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মাদক, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট সহ নানা অপকর্মের নামে নানা অভিযোগ থাকার পর ও শুধু মাত্র রাজনৈতিক পরিচয় তারা ছিলো ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
সচেতন নাগরিক সমাজ ও স্থানীয়রা এদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার গডফাদারদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।