, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কামরুল হুদার পক্ষে নির্বাচনী গণমিছিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় দৈনিক বর্তমান বাংলার প্রতিনিধি সভা এবং পরিচয় পত্র বিতরণ সম্পন্ন চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম এর কমিটি গঠন চৌদ্দগ্রামের বাতিসায় বিএনপি’র ওয়ার্ড সেক্রেটারি সহ বহু নেতাকর্মীর জামায়াতে যোগদান ওসমান হাদীর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে চৌদ্দগ্রামে এনসিপি’র মানববন্ধন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে তার জন্মস্থান নলছিটিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা,দোষীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম চৌদ্দগ্রামে কনকাপৈত ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যাগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকের পায়ের সফল অস্ত্রোপচার চৌদ্দগ্রামকে শান্তির জনপদ হিসেবে গড়তে দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষে ভোট দিন : কামরুল হুদা চৌদ্দগ্রামে পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবকের উপর হামলা-বেধড়ক মারধর, থানায় অভিযোগ

চৌদ্দগ্রামকে শান্তির জনপদ হিসেবে গড়তে দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষে ভোট দিন : কামরুল হুদা

 

মনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

 

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) সংসদীয় আসনের বিএনপি দলীয় মনোনীত প্রার্থী, কুমিল্লা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. কামরুল হুদা বলেন, আমার নেত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া, আমার নেতা তারুন্যের অহংকার দেশনায়ক তারেক রহমান, আমার প্রতীক ধানের শীষ। কিন্তু চৌদ্দগ্রামে আমি সর্বদলীয় প্রার্থী হতে চাই। আমি এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী না হয়ে আপনাদের সকলের প্রার্থী হতে চাই। সকলের দায়িত্ব নিতে চাই। সারা বাংলাদেশে যতগুলো উপজেলা রয়েছে, তারমধ্যে চৌদ্দগ্রাম হলো পথিকৃত উপজেলা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে সারা বাংলাদেশের ফোকাস থাকবে এ চৌদ্দগ্রামের দিকে। আমাকে মনোনীত করার পর গত সপ্তাহে ধানের শীষের পক্ষে একটি বিশাল শোডাউন করেছিলাম। আমি দেখেছি, সর্বদলীয় লোকেরা সেখানে উপস্থিত হয়েছে এবং সেটার ব্যাপ্তি ছিল সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। চৌদ্দগ্রামের ইতিহাসে এটা একটি ইতিহাস ও অনন্য নজির।

 

 

আপনারা একটি শাস্তির চৌদ্দগ্রাম চান? এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের দক্ষিণ চৌদ্দগ্রামে যে সন্ত্রাস, আমাদের চৌদ্দগ্রামের সাথে সেটা যায় না। চৌদ্দগ্রাম এমন একটি উপজেলা এখানে শিক্ষিত লোক, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারের সংখ্যা বেশি। আপনারা সমন্বিতভাবে একটি শান্তির চৌদ্দগ্রাম গড়ার প্রত্যয়ে যদি কাজ করেন, অবশ্যই ধানের শীষকে ভোট দিবেন। আপনারা যদি একতাবদ্ধ হোন, আপনাদেরকে হারানোর ক্ষমতা কারো নেই। গত বুধবার রাতে চট্টগ্রামস্থ চৌদ্দগ্রামবাসীর আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

বক্তব্যে কামরুল হুদা আরও বলেন, আমরা শুনেছি দক্ষিণ চৌদ্দগ্রামে নিয়ে যাবে। আমরা কি ‘নিয়ে যাওয়ার’ জন্য আন্দোলন করেছিলাম? গত ১৭ বছর যে নির্বাচন হয়েছে, সেসব নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ‘নিয়ে যাবে’ এটা কোন ধরনের শব্দ? এটার জন্য তো দেশনায়ক তারেক রহমান এ আন্দোলনের সময় মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেননি! জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই তিনি কাজ করেছেন। সবাই যদি দায়িত্ব নেন, তাহলে চৌদ্দগ্রাম হবে একটি শান্তির চৌদ্দগ্রাম। চৌদ্দগ্রামকে শান্তির জনপদ হিসেবে গড়তে দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষে ভোট দিন। এ সময় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

 

চট্টগ্রামস্থ চৌদ্দগ্রাম কমিউনিটির আয়োজনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাব ও আটাব চট্টগ্রাম জোনের সাবেক চেয়ারম্যান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম।

 

অধ্যক্ষ আবদুর রব সোহেল ও মাইনুল আহসানের যৌথ পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক যুগ্ম সচিব কাজী নাসিমুল ইসলাম, এপিপি কাজী কামরুন নেছা, এডভোকেট জান্নাতুল স্বরলিপি, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবু জাফর, কুমিল্লা জেলা সমিতির সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন বাবুল, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রব, অবসরপ্রাপ্ত এএসপি মমতাজ উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহআলম রাজু, চৌদ্দগ্রাম কমিউনিটি চট্টগ্রামের আহবায়ক আগা মাইনুল হক চৌধুরী রাসেল, কুমিল্লা জেলা সমিতির সেক্রেটারি কাজী জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মজুমদার, ড্যাব নেতা বেলায়েত হোসেন ঢালীসহ চট্টগ্রামে অবস্থানরত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী নুরুল ইসলাম (শাহীন রেজা), সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া চৌধুরী যুবরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুন্নবী পাটোয়ারী নুরু, চৌদ্দগ্রাম পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম ছুট্টু, চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ হারুন, শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, কনকাপৈত ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কাজী মো. মহিন উদ্দিন নয়ন সহ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা ও মতবিনিময় সভা শেষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। আগামীর স্বপ্নের ও শান্তির চৌদ্দগ্রাম বিনির্মাণে চট্টগ্রামস্থ চৌদ্দগ্রামবাসীর আয়োজনে এ মতবিনিময় সভায় অন্তত দুই শতাধিক  মানুষের উপস্থিতি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

জনপ্রিয়

চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কামরুল হুদার পক্ষে নির্বাচনী গণমিছিল অনুষ্ঠিত

চৌদ্দগ্রামকে শান্তির জনপদ হিসেবে গড়তে দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষে ভোট দিন : কামরুল হুদা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

 

মনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

 

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) সংসদীয় আসনের বিএনপি দলীয় মনোনীত প্রার্থী, কুমিল্লা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. কামরুল হুদা বলেন, আমার নেত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া, আমার নেতা তারুন্যের অহংকার দেশনায়ক তারেক রহমান, আমার প্রতীক ধানের শীষ। কিন্তু চৌদ্দগ্রামে আমি সর্বদলীয় প্রার্থী হতে চাই। আমি এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী না হয়ে আপনাদের সকলের প্রার্থী হতে চাই। সকলের দায়িত্ব নিতে চাই। সারা বাংলাদেশে যতগুলো উপজেলা রয়েছে, তারমধ্যে চৌদ্দগ্রাম হলো পথিকৃত উপজেলা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে সারা বাংলাদেশের ফোকাস থাকবে এ চৌদ্দগ্রামের দিকে। আমাকে মনোনীত করার পর গত সপ্তাহে ধানের শীষের পক্ষে একটি বিশাল শোডাউন করেছিলাম। আমি দেখেছি, সর্বদলীয় লোকেরা সেখানে উপস্থিত হয়েছে এবং সেটার ব্যাপ্তি ছিল সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। চৌদ্দগ্রামের ইতিহাসে এটা একটি ইতিহাস ও অনন্য নজির।

 

 

আপনারা একটি শাস্তির চৌদ্দগ্রাম চান? এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের দক্ষিণ চৌদ্দগ্রামে যে সন্ত্রাস, আমাদের চৌদ্দগ্রামের সাথে সেটা যায় না। চৌদ্দগ্রাম এমন একটি উপজেলা এখানে শিক্ষিত লোক, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারের সংখ্যা বেশি। আপনারা সমন্বিতভাবে একটি শান্তির চৌদ্দগ্রাম গড়ার প্রত্যয়ে যদি কাজ করেন, অবশ্যই ধানের শীষকে ভোট দিবেন। আপনারা যদি একতাবদ্ধ হোন, আপনাদেরকে হারানোর ক্ষমতা কারো নেই। গত বুধবার রাতে চট্টগ্রামস্থ চৌদ্দগ্রামবাসীর আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

বক্তব্যে কামরুল হুদা আরও বলেন, আমরা শুনেছি দক্ষিণ চৌদ্দগ্রামে নিয়ে যাবে। আমরা কি ‘নিয়ে যাওয়ার’ জন্য আন্দোলন করেছিলাম? গত ১৭ বছর যে নির্বাচন হয়েছে, সেসব নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ‘নিয়ে যাবে’ এটা কোন ধরনের শব্দ? এটার জন্য তো দেশনায়ক তারেক রহমান এ আন্দোলনের সময় মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেননি! জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই তিনি কাজ করেছেন। সবাই যদি দায়িত্ব নেন, তাহলে চৌদ্দগ্রাম হবে একটি শান্তির চৌদ্দগ্রাম। চৌদ্দগ্রামকে শান্তির জনপদ হিসেবে গড়তে দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষে ভোট দিন। এ সময় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

 

চট্টগ্রামস্থ চৌদ্দগ্রাম কমিউনিটির আয়োজনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাব ও আটাব চট্টগ্রাম জোনের সাবেক চেয়ারম্যান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম।

 

অধ্যক্ষ আবদুর রব সোহেল ও মাইনুল আহসানের যৌথ পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক যুগ্ম সচিব কাজী নাসিমুল ইসলাম, এপিপি কাজী কামরুন নেছা, এডভোকেট জান্নাতুল স্বরলিপি, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবু জাফর, কুমিল্লা জেলা সমিতির সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন বাবুল, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রব, অবসরপ্রাপ্ত এএসপি মমতাজ উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহআলম রাজু, চৌদ্দগ্রাম কমিউনিটি চট্টগ্রামের আহবায়ক আগা মাইনুল হক চৌধুরী রাসেল, কুমিল্লা জেলা সমিতির সেক্রেটারি কাজী জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মজুমদার, ড্যাব নেতা বেলায়েত হোসেন ঢালীসহ চট্টগ্রামে অবস্থানরত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী নুরুল ইসলাম (শাহীন রেজা), সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া চৌধুরী যুবরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুন্নবী পাটোয়ারী নুরু, চৌদ্দগ্রাম পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম ছুট্টু, চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ হারুন, শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, কনকাপৈত ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কাজী মো. মহিন উদ্দিন নয়ন সহ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা ও মতবিনিময় সভা শেষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। আগামীর স্বপ্নের ও শান্তির চৌদ্দগ্রাম বিনির্মাণে চট্টগ্রামস্থ চৌদ্দগ্রামবাসীর আয়োজনে এ মতবিনিময় সভায় অন্তত দুই শতাধিক  মানুষের উপস্থিতি মিলনমেলায় পরিণত হয়।