, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজ রাতে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ থেকেও চৌদ্দগ্রামের নোয়াবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে আর লাগবে না জিডি চার বছরের শিশুর সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১ চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত কুমিল্লা নগরীর ছোটরায় ২নং ওয়ার্ডে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বিএমইউজে নাটোর জেলা কমিটি অনুমোদন। : আলেক শেখ সভাপতি, মোহন সাধারণ সম্পাদক চৌদ্দগ্রামে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল সহ চিহিৃত মাদক কারবারি আটক নাঙ্গলকোটে প্রত্যয় সংগঠনের উদ্যোগে সিঙ্গুরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি কুমিল্লায় সাবেক মেয়র সাক্কুর নেতৃত্বে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বিশাল আনন্দর‌্যালী

তারাকান্দায় ঘর বাড়ি ভাংচুর ফিসারির মাছ লুটপাট কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ

 

ময়মনসিংহের তারাকান্দায উপজেলায় পশ্চিম বালিখা গ্রামের জসিম উদ্দিন প্রতিপক্ষকে চাঁদা না দেয়ায় জুন মাসে এক সংঘর্ষের ঘটনায় একই গ্রামের একজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এর জের ধরেই ঐদিনের রাতের অন্ধকারে মাছ চুরি এবং বাড়িঘর ভাঙচুর সহ কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুটপাটের ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, তারাকান্দার বালিখাঁ ইউনিয়নে পশ্চিম বালিখা গ্রামের জসিম উদ্দিনসহ প্রবাসীর বাড়ীঘরসহ রাতের অন্ধকারে ৩৪ একর ভূমিতে প্রায় ২৩টি ফিসারির মাছ লুটপাট শুরু করা হয়। কয়েকটি পরিবারের ৬-৭টি বিল্ডিং ঘর ভাংচুর করে ব্যপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে ঘরে জিনিসপত্র লুটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ২৮ জুন ২০২৫ তারিখ সকালে সংগঠিত হয়। ঐ দিনের রাত থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত এ লুটপাট ভাংচুর, ২৩টি ফিসারী থেকে মাছ চুরির ঘটনা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ একটি অপরাধের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক ভাবে তদন্ত করলে আরেকটি অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। থানা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত হয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

ভূক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান তাদের বাড়ীঘরের নগদ টাকা সহ ৭ভরি স্বর্ণের অলংকার, এক টন রড, গরু, ছাগল, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, হাঁস-মুরগী- কবুতর, ঘরে থাকা ধান, চাউল সহ লক্ষ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র সহ প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার এ পর্যন্ত লুটপাট করে নিয়ে গেছে আওয়ামী সমর্থিত খলিল গং।

ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা গৃহহীন হয়ে রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় বাস্তুহারা হয়ে জীবন যাপন করছি। আমরা যে থাকবো এমন কোন বাড়িঘর নেই আমাদের। আমাদের সন্তান রা স্কুলে যেতে পারছেনা।

বাড়িঘর ভাংচুর এবং ফিসারির মাছ ডাকাতি সহ সব মিলিয়ে প্রায় ৬/৭ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে প্রতিপক্ষরা। ভুক্তভোগী পরিবার এখন আইনের দ্বারস্থ হয়ে এর সঠিক সমাধান চান প্রশাসন এর কাছে এ ঘটনার বিষয়ে থানায় আইনগত প্রতিকার না পেয়ে আদালতের আশ্রয় গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার। তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ টিপু সুলতানকে ফিসারীর মাছ লুটে নেওয়ার বিষয়ে অবগত করলে তিনি রাতের অন্ধকারে পুলিশ ফোর্স নিয়ে যেতে পারবেন না, এলাকার লোকজন আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।

জনপ্রিয়

আজ রাতে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ থেকেও

তারাকান্দায় ঘর বাড়ি ভাংচুর ফিসারির মাছ লুটপাট কোটি টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

 

ময়মনসিংহের তারাকান্দায উপজেলায় পশ্চিম বালিখা গ্রামের জসিম উদ্দিন প্রতিপক্ষকে চাঁদা না দেয়ায় জুন মাসে এক সংঘর্ষের ঘটনায় একই গ্রামের একজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এর জের ধরেই ঐদিনের রাতের অন্ধকারে মাছ চুরি এবং বাড়িঘর ভাঙচুর সহ কয়েক কোটি টাকার মালামাল লুটপাটের ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, তারাকান্দার বালিখাঁ ইউনিয়নে পশ্চিম বালিখা গ্রামের জসিম উদ্দিনসহ প্রবাসীর বাড়ীঘরসহ রাতের অন্ধকারে ৩৪ একর ভূমিতে প্রায় ২৩টি ফিসারির মাছ লুটপাট শুরু করা হয়। কয়েকটি পরিবারের ৬-৭টি বিল্ডিং ঘর ভাংচুর করে ব্যপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে ঘরে জিনিসপত্র লুটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ২৮ জুন ২০২৫ তারিখ সকালে সংগঠিত হয়। ঐ দিনের রাত থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত এ লুটপাট ভাংচুর, ২৩টি ফিসারী থেকে মাছ চুরির ঘটনা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ একটি অপরাধের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক ভাবে তদন্ত করলে আরেকটি অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। থানা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত হয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

ভূক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান তাদের বাড়ীঘরের নগদ টাকা সহ ৭ভরি স্বর্ণের অলংকার, এক টন রড, গরু, ছাগল, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, হাঁস-মুরগী- কবুতর, ঘরে থাকা ধান, চাউল সহ লক্ষ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র সহ প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি টাকার এ পর্যন্ত লুটপাট করে নিয়ে গেছে আওয়ামী সমর্থিত খলিল গং।

ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা গৃহহীন হয়ে রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় বাস্তুহারা হয়ে জীবন যাপন করছি। আমরা যে থাকবো এমন কোন বাড়িঘর নেই আমাদের। আমাদের সন্তান রা স্কুলে যেতে পারছেনা।

বাড়িঘর ভাংচুর এবং ফিসারির মাছ ডাকাতি সহ সব মিলিয়ে প্রায় ৬/৭ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছে প্রতিপক্ষরা। ভুক্তভোগী পরিবার এখন আইনের দ্বারস্থ হয়ে এর সঠিক সমাধান চান প্রশাসন এর কাছে এ ঘটনার বিষয়ে থানায় আইনগত প্রতিকার না পেয়ে আদালতের আশ্রয় গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবার। তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ টিপু সুলতানকে ফিসারীর মাছ লুটে নেওয়ার বিষয়ে অবগত করলে তিনি রাতের অন্ধকারে পুলিশ ফোর্স নিয়ে যেতে পারবেন না, এলাকার লোকজন আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।