, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে ইউএনও’র সাথে সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির সময় জনতার হাতে আটক ৩ গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলো স্থানীয়রা এদেশে আর কাউকে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেওয়া হবে না চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকতায় সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের মানুষিকতা থাকতে হবে প্রশিক্ষণ কর্মশালায়-শিবলী সাদিক খান ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ৩১ দফার মূল লক্ষ্য — বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী ইয়াছিন চৌদ্দগ্রামে তুলাপুষ্কুরণী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা প্রদান “আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের সৈনিক, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই”- কামরুল হুদা কুমিল্লা সীমান্তে ০৫ কোটি ৭০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ চৌদ্দগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী নারীর জমি দখল প্রতিবাদ করায় আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

শারদীয় দূর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত চৌদ্দগ্রামের ২২টি পূজা মন্ডপ

 

 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শারদীয় দূর্গোৎসব এর জন্য প্রায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত ২২টি পূজা মন্ডপ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। পূজো যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রতিমা শিল্পীদের বাড়ছে ব্যস্ততা। মাত্র কয়েকদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এখন শেষ মুহুর্তের ব্যস্ততায় সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা কারিগররা। কেউ প্রতিমার হাত-পা তৈরি করছেন, কেউ লাগাচ্ছেন মাটি, কেউ আবার কাজ শেষে করছেন রঙের কাজ। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রতিমা তৈরীর ঘামঝরানো এ শৈল্পিক কাজ।

 

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের ২২টি পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ ধর্মীয় উৎসব একযোগে শুরু হবে। পৌরসভার চৌদ্দগ্রাম বাজার পূজা মন্ডপ, চাঁন্দিশকরার নাথ বাড়ি ও পাল বাড়ি পূজা মন্ডপ, কালিকাপুর ইউনিয়নের আব্দুুল্লাহপুর চৌধুরী বাড়ি পূজা মন্ডপ, ঘোলপাশা ইউনিয়নের উজানমুড়ি কালিবাড়ি পূজা মন্ডপ, বাতিসার নকুল শীলের বাড়ি পূজা মন্ডপ, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বরদৈন কর্মকার বাড়ি পূজা মন্ডপ, আলকরার পোটকরা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, উজিরপুর ইউনিয়নের ঘাসিগ্রাম পূজা মন্ডপ, মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ডাকরা পূজা মুন্ডপ, শুভপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া পূজা মন্ডপ সহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি চলছে সাজসজ্জার শেষ মুহুর্তের কাজ। কোন কোন প্রতিমার গায়ে ইতিমধ্যেই শোভা পাচ্ছে রঙ বেরঙের শাড়ি-দামি গহনা। বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জায় আলোকিত করার পাশাপাশি নানান সাজে সাজানো হয়েছে প্রতিটি পূজা মন্ডপ। পূজা শুরু না হলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে এখনই আনন্দের জোয়ার বইছে। প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত চলবে তাদের এ আনন্দ উৎসব।

 

প্রতিমা শিল্পী সঞ্জয় বলেন, দাদা এবং বাবার পর আমি গত ২০ বছর ধরে এ শিল্পের সাথে জড়িত আছি। ল²ী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, ময়ূর, প্যাঁচা ও দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ার কাজ শেষ হলেও সৌন্দর্য বাড়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের রঙ তুলির কাজ। আশা করছি, যথাসময়ে কাজ শেষ হয়ে যাবে।

 

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু নকুল কুমার সাহা বলেন, সরকারের নির্দেশ ও আমাদের পূজা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২২টি পূজা মন্ডপের সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের পূজা অত্যান্ত আনন্দময় হবে।

 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু প্রমোদ রঞ্জণ চক্রবর্তী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো শারদীয় দূর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও চৌদ্দগ্রামে ২২টি পূজা মন্ডপে এ উৎসব উদযাপন করা হবে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সুন্দর প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি এবার সুন্দরভাবে আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে। উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সনাতন ধর্মাবলম্বী সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে শারদীয় দূর্গোৎসব মিলনমেলায় রূপ নিবে।

 

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, এবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ২২টি পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জন্য থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সকল ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে আমাদের সকল প্রকার ফোর্স প্রস্তুত আছে।

জনপ্রিয়

চৌদ্দগ্রামে ইউএনও’র সাথে সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

শারদীয় দূর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত চৌদ্দগ্রামের ২২টি পূজা মন্ডপ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শারদীয় দূর্গোৎসব এর জন্য প্রায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত ২২টি পূজা মন্ডপ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। পূজো যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রতিমা শিল্পীদের বাড়ছে ব্যস্ততা। মাত্র কয়েকদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এখন শেষ মুহুর্তের ব্যস্ততায় সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা কারিগররা। কেউ প্রতিমার হাত-পা তৈরি করছেন, কেউ লাগাচ্ছেন মাটি, কেউ আবার কাজ শেষে করছেন রঙের কাজ। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রতিমা তৈরীর ঘামঝরানো এ শৈল্পিক কাজ।

 

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের ২২টি পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ ধর্মীয় উৎসব একযোগে শুরু হবে। পৌরসভার চৌদ্দগ্রাম বাজার পূজা মন্ডপ, চাঁন্দিশকরার নাথ বাড়ি ও পাল বাড়ি পূজা মন্ডপ, কালিকাপুর ইউনিয়নের আব্দুুল্লাহপুর চৌধুরী বাড়ি পূজা মন্ডপ, ঘোলপাশা ইউনিয়নের উজানমুড়ি কালিবাড়ি পূজা মন্ডপ, বাতিসার নকুল শীলের বাড়ি পূজা মন্ডপ, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বরদৈন কর্মকার বাড়ি পূজা মন্ডপ, আলকরার পোটকরা সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, উজিরপুর ইউনিয়নের ঘাসিগ্রাম পূজা মন্ডপ, মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ডাকরা পূজা মুন্ডপ, শুভপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া পূজা মন্ডপ সহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি চলছে সাজসজ্জার শেষ মুহুর্তের কাজ। কোন কোন প্রতিমার গায়ে ইতিমধ্যেই শোভা পাচ্ছে রঙ বেরঙের শাড়ি-দামি গহনা। বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জায় আলোকিত করার পাশাপাশি নানান সাজে সাজানো হয়েছে প্রতিটি পূজা মন্ডপ। পূজা শুরু না হলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে এখনই আনন্দের জোয়ার বইছে। প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত চলবে তাদের এ আনন্দ উৎসব।

 

প্রতিমা শিল্পী সঞ্জয় বলেন, দাদা এবং বাবার পর আমি গত ২০ বছর ধরে এ শিল্পের সাথে জড়িত আছি। ল²ী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, ময়ূর, প্যাঁচা ও দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ার কাজ শেষ হলেও সৌন্দর্য বাড়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের রঙ তুলির কাজ। আশা করছি, যথাসময়ে কাজ শেষ হয়ে যাবে।

 

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু নকুল কুমার সাহা বলেন, সরকারের নির্দেশ ও আমাদের পূজা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২২টি পূজা মন্ডপের সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের পূজা অত্যান্ত আনন্দময় হবে।

 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু প্রমোদ রঞ্জণ চক্রবর্তী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো শারদীয় দূর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও চৌদ্দগ্রামে ২২টি পূজা মন্ডপে এ উৎসব উদযাপন করা হবে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার সুন্দর প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি এবার সুন্দরভাবে আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে। উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সনাতন ধর্মাবলম্বী সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে শারদীয় দূর্গোৎসব মিলনমেলায় রূপ নিবে।

 

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, এবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ২২টি পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জন্য থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সকল ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে আমাদের সকল প্রকার ফোর্স প্রস্তুত আছে।