, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে ইউএনও’র সাথে সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির সময় জনতার হাতে আটক ৩ গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলো স্থানীয়রা এদেশে আর কাউকে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেওয়া হবে না চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকতায় সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের মানুষিকতা থাকতে হবে প্রশিক্ষণ কর্মশালায়-শিবলী সাদিক খান ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ৩১ দফার মূল লক্ষ্য — বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী ইয়াছিন চৌদ্দগ্রামে তুলাপুষ্কুরণী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা প্রদান “আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের সৈনিক, আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই”- কামরুল হুদা কুমিল্লা সীমান্তে ০৫ কোটি ৭০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ পণ্য জব্দ চৌদ্দগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী নারীর জমি দখল প্রতিবাদ করায় আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সত্যান্বেষণই সাংবাদিকতার হউক মহান ব্রত

 

 

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার আহবান জানিয়ে ‘সত্যান্বেষণই সাংবাদিকতার হউক মহান ব্রত’ মন্তব্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন বিএমইউজে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান।

 

তিনি বলেন সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। একজন মানবাধিকার কর্মী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তথ্যানুসন্ধান করে রিপোর্ট প্রণয়ন করেন। ঠিক একইভাবে একজন সাংবাদিককেও ঘটনার পেছনে ঘটা সত্যটাকে খুঁজে অনুসন্ধান করে জনগণের সামনে তুলে ধরা আবশ্যকতা হয়ে পড়ে।

 

 

একজন সাংবাদিকের নিজস্ব মতামত প্রকাশের জায়গা সংবাদপত্র নয়, ঘটনা যতটুকু ঘটে, ততটুকুই বলবেন একজন সাংবাদিক; এর বেশি নয়। সাংবাদিকতার জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জও এটাই। প্রতিদিন অনেক ধরনের ঘটনাই ঘটে। জনমত সৃষ্টিতে আজকের সাংবাদিকরা রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চিন্তা করতে হবে জনমতের জায়গা থেকে জনকল্যাণের জায়গা থেকে।
সাধারণ খবরকে একজন সাংবাদিক এমনভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, যাতে তা পাঠক পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তা পাঠকের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

 

 

প্রকৃত অর্থে সাংবাদিকতা আর দশটি পেশার মতো নয়, পেশাদারিত্বের কাজটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রকৃত সাংবাদিকের দায়িত্ব বস্তুনিষ্ঠ ও সততাপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করা। সাংবাদিকতা যেমন এক বিধ্বস্ত জাতিকে পুনর্গঠনে অবদান রাখতে পারে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকতার নামে মিথ্যাচারিতা, পক্ষপাতিত্ব, স্বার্থপরতা এক সুসংহত জাতিকে হিংসাত্মক যুদ্ধের দাবানলে প্রজ্জ্বলিত করার ভূমিকা রাখতে পারে।

 

 

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্থান এখন দখল করে নিয়েছে করপোরেট সাংবাদিকতা। একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক এই রূপান্তরগুলোকে শুধু দেখেই শেষ করতে পারেন না, সেগুলোকে তার নিবিড় পর্যবেক্ষণেও রাখতে হবে এবং তার নিজস্ব এথিক্সের আলোকে চলার পথ বা সংবাদ লেখার পথ ঠিক করতে হবে। পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে তার রাজনীতি, অর্থনীতি আর মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ধারা। বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা-চেতনা, রুচি, বিবেকবোধের দৃষ্টিকোণ আর দীর্ঘদিনের চলমান অভ্যাস। এই পরিবর্তনের সাথে বদলে যাচ্ছে সাংবাদিকতার চিন্তাধারা।

 

 

দেশটিতে গণতন্ত্র যদি সত্যিকারার্থে চর্চা হয়, দেশে আইনের শাসন আপনা-আপনি কার্যকর হবে। আর একটা গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যমও তার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে গণমাধ্যমের ভেতরের যে সঙ্কটগুলো আছে, তা-ও দূরীভূত হবে। কাজেই কী করলে দেশের রাজনীতি সুস্থ ধারায় ফিরবে, দুর্নীতি-দরিদ্রতা হ্রাস পাবে, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার তথা গণতন্ত্র কার্যকর হবে; সেদিকটাতেই আমাদের সবার একযোগে দেশাত্মবোধ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। না হলে কোনো মানুষেরই জীবন ও পেশা নিরাপদ হবে না। সর্বোপরি বিভাজন আর অসত্য থেকে আমাদের সবাইকে সরে আসতে হবে।

জনপ্রিয়

চৌদ্দগ্রামে ইউএনও’র সাথে সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

সত্যান্বেষণই সাংবাদিকতার হউক মহান ব্রত

প্রকাশের সময় : ০৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

 

 

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার আহবান জানিয়ে ‘সত্যান্বেষণই সাংবাদিকতার হউক মহান ব্রত’ মন্তব্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন বিএমইউজে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান।

 

তিনি বলেন সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। একজন মানবাধিকার কর্মী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তথ্যানুসন্ধান করে রিপোর্ট প্রণয়ন করেন। ঠিক একইভাবে একজন সাংবাদিককেও ঘটনার পেছনে ঘটা সত্যটাকে খুঁজে অনুসন্ধান করে জনগণের সামনে তুলে ধরা আবশ্যকতা হয়ে পড়ে।

 

 

একজন সাংবাদিকের নিজস্ব মতামত প্রকাশের জায়গা সংবাদপত্র নয়, ঘটনা যতটুকু ঘটে, ততটুকুই বলবেন একজন সাংবাদিক; এর বেশি নয়। সাংবাদিকতার জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জও এটাই। প্রতিদিন অনেক ধরনের ঘটনাই ঘটে। জনমত সৃষ্টিতে আজকের সাংবাদিকরা রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চিন্তা করতে হবে জনমতের জায়গা থেকে জনকল্যাণের জায়গা থেকে।
সাধারণ খবরকে একজন সাংবাদিক এমনভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, যাতে তা পাঠক পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তা পাঠকের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

 

 

প্রকৃত অর্থে সাংবাদিকতা আর দশটি পেশার মতো নয়, পেশাদারিত্বের কাজটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রকৃত সাংবাদিকের দায়িত্ব বস্তুনিষ্ঠ ও সততাপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করা। সাংবাদিকতা যেমন এক বিধ্বস্ত জাতিকে পুনর্গঠনে অবদান রাখতে পারে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকতার নামে মিথ্যাচারিতা, পক্ষপাতিত্ব, স্বার্থপরতা এক সুসংহত জাতিকে হিংসাত্মক যুদ্ধের দাবানলে প্রজ্জ্বলিত করার ভূমিকা রাখতে পারে।

 

 

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্থান এখন দখল করে নিয়েছে করপোরেট সাংবাদিকতা। একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক এই রূপান্তরগুলোকে শুধু দেখেই শেষ করতে পারেন না, সেগুলোকে তার নিবিড় পর্যবেক্ষণেও রাখতে হবে এবং তার নিজস্ব এথিক্সের আলোকে চলার পথ বা সংবাদ লেখার পথ ঠিক করতে হবে। পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে তার রাজনীতি, অর্থনীতি আর মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ধারা। বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা-চেতনা, রুচি, বিবেকবোধের দৃষ্টিকোণ আর দীর্ঘদিনের চলমান অভ্যাস। এই পরিবর্তনের সাথে বদলে যাচ্ছে সাংবাদিকতার চিন্তাধারা।

 

 

দেশটিতে গণতন্ত্র যদি সত্যিকারার্থে চর্চা হয়, দেশে আইনের শাসন আপনা-আপনি কার্যকর হবে। আর একটা গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যমও তার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে গণমাধ্যমের ভেতরের যে সঙ্কটগুলো আছে, তা-ও দূরীভূত হবে। কাজেই কী করলে দেশের রাজনীতি সুস্থ ধারায় ফিরবে, দুর্নীতি-দরিদ্রতা হ্রাস পাবে, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার তথা গণতন্ত্র কার্যকর হবে; সেদিকটাতেই আমাদের সবার একযোগে দেশাত্মবোধ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। না হলে কোনো মানুষেরই জীবন ও পেশা নিরাপদ হবে না। সর্বোপরি বিভাজন আর অসত্য থেকে আমাদের সবাইকে সরে আসতে হবে।