
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঔষধ কেনাকাটায় কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমান পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি উঠেছে। এ দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে নিপীড়িত নাগরিক সমাজ, কুমিল্লার ছাত্র জনতা ও সচেতন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হাসপাতালের ওষুধপত্র (এমএসআর) গ্রুপে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কেনাকাটায় বড় অঙ্কের অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে ইনজেকশন পেনটোথাল সোডিয়াম (১ গ্রাম পানিসহ) ৪ হাজার ভায়েল ক্রয় করা হয়েছে ১২৯৯ টাকা দরে, যেখানে খুচরা বাজারে এর মূল্য মাত্র ১০১ টাকা। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। অথচ সরকারি নীতিমালায় এমআরপি দরের বাইরে ওষুধ কেনার সুযোগ নেই।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটিতে দালালচক্র ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং প্রতিবারই নতুন নতুন দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। এ পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে পরিচালকসহ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টি কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, এবি পার্টি কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক গোলাম মো. সামদানীসহ ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অভিযোগের মুখে হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, “এটি প্রিন্টিং মিসটেক।”

মোঃ মাহফুজ আনোয়ার ( কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ 


















