, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামের আঠারবাঁকে মাদকসেবী শহীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী চৌদ্দগ্রামে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষনা করলে আস্থার সংকট কেটে যাবে: ডা. তাহের চৌদ্দগ্রাম ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা চৌদ্দগ্রামে ধর্মপুর হাফেজিয়া নূরানী মাদরাসার মোহতামীম হাফেজ ক্বারী মো: সিরাজুল ইসলামের বিদায় সংবর্ধনা আলোচিত সেই ‘কবরস্থানের সভাপতি’ পদের নির্বাচন স্থগিত চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে “প্রায়োগিক পরীক্ষণ মাঠে বিনা মুগ-৮ ও বারি মুগ-২ এর মূল্যায়ণ” শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ঘোলপাশা ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত কবরস্থান কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সভাপতি পদে ভোটের প্রস্তুতি

চৌদ্দগ্রামের আঠারবাঁকে মাদকসেবী শহীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

  • প্রকাশের সময় : ০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • ১০ পড়া হয়েছে

চৌদ্দগ্রামের আঠারবাঁকে মাদকসেবী শহীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শহীদ নামের এক মাদকসেবীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। শহীদ উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের আঠারবাঁক গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
এক সময়ে ছাত্রলীগ পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সক্রিয়কর্মী শহীদ ৫ আগষ্টের পরে রাজনৈতিক রুপ পরিবর্তন করে এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। তার বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষকে হুমকি ধমকী ও মারধর চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারী তার কথামতো পাশের গ্রাম থেকে মাদক নিয়ে আসতে না যাওয়ার কারণে একই গ্রামের মহিন নামের এক অটোরিকশা চালককে বেদম মারধর করে। এতে মহিনের একটি পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। অসুস্থ অবস্থায় বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মহিন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার সপ্তাহ পরে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একটি শালিস দরবারে বসেন। দরবারে সর্বসম্মতিক্রমে শহীদের একলক্ষ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা পরিশোধের জন্য ১০ দিনের সময় নেন শহীদের তিন ভাই আবু হানিফ ও ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে প্রবাসী সুমন ও শাহপরান। দরবারের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ধার্যকৃত জরিমানার টাকা পরিশোধ না করে শহীদ ও তার ভাইয়েরা উল্টো মহিন ও শালিসদারদেরকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। এদিকে জরিমানার টাকা আদায় করে হতদরিদ্র মহিনের চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং চিহ্নিত মাদকসেবী ও চাঁদাবাজ শহীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।
অপরদিকে শহীদ ও তার ভাই হানিফের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছেন আমানউল্লাহ নামের এক প্রবাসী। চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের কৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আঠার বাঁক গ্রামের মৃত মিন্নত আলীর ছেলে কাতার প্রবাসী আমান উল্লাহ নিজ বাড়িতে ঘর নির্মাণ করছিলেন। এখানে ঘর নির্মাণ করতে হলে শহীদ কে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দিতে থাকে। টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় এসে নির্মাণ শ্রমিকদের কে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। গত ১২ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় কাদৈর বাজার থেকে আসা পথে শহীদ ও তার বাহিনী ওই এলাকার টুকু সওদাগরের বাড়ির সামনে পথরোধ করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আগামী তিন দিনের মধ্যে টাকা না পাইলে প্রবাসী আমান উল্লাহ ও তার পরিবার কে হত্যা করার হুমকি দেয়। বিষয় টি শহীদের বড় ভাই হানিফ কে জানাইলে সেও ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে হুমকি দিতে থাকে। এর আগেও শহীদের বিরুদ্ধে প্রবাসী আমান উল্লাহ
কুমিল্লার আদালতে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ভবিষ্যতে আর এমন আচরণ করবে না মর্মে শহীদ আদালতে মুচলেকা দিয়ে আসে।
চিহ্নিত মাদকসেবি ও চাঁদাবাজ শহীদ এবং তার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মহিন বলেন আমি আজ অসহায়, পঙ্গুত্ব বরণ করে দিন কাটছে। প্রতিনিয়ত শহিদ ও তার বড় ভাই আবু হানিফের প্রাণনাশের হুমকি ধমকিতে দিন কাটছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা চাই, আমার বৃদ্ধ মা বাবা সহ আমি বাঁচতে চাই। আমি থানা পুলিশ ও এলেকাবাসীর সাহায্য চাই।

এই দিকে শহিদের বিচারের দাবীতে আজ ০৩ জুন সকালে আঠারবাঁকে ৭০/৭৫ জন গর্ণমান্য ব্যাক্তিবর্গ চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হিলাল উদ্দিনের সাথে স্বাক্ষাত করেন, গ্রামবাসী এই সময়ে মহিনের অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং মাদক থেকে গ্রামবাসী কে বাঁচাতে সাহায্য প্রার্থণা করেন। তার বড় ভাই হানিফ ও একজন প্রতারক ও মাদক কারবারি। শহিদ কে মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করে। এলাকাবাসীর অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে রয়েছে।

এই সময়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এই বিষয়ে শালিশের বিচারক স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন অপু বলেন আমার সভাপতিত্বে বিচার হয়। রায় মানার জন্য এবং মহিনের চিকিৎসার জন্য টাকা চাইলে দিবে না বলে অস্বীকার করেন। গ্রামবাসী তার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর প্রদান করেন।

চৌদ্দগ্রামের আঠারবাঁকে মাদকসেবী শহীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

চৌদ্দগ্রামের আঠারবাঁকে মাদকসেবী শহীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশের সময় : ০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

চৌদ্দগ্রামের আঠারবাঁকে মাদকসেবী শহীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শহীদ নামের এক মাদকসেবীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। শহীদ উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের আঠারবাঁক গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
এক সময়ে ছাত্রলীগ পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সক্রিয়কর্মী শহীদ ৫ আগষ্টের পরে রাজনৈতিক রুপ পরিবর্তন করে এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। তার বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষকে হুমকি ধমকী ও মারধর চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারী তার কথামতো পাশের গ্রাম থেকে মাদক নিয়ে আসতে না যাওয়ার কারণে একই গ্রামের মহিন নামের এক অটোরিকশা চালককে বেদম মারধর করে। এতে মহিনের একটি পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। অসুস্থ অবস্থায় বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মহিন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার সপ্তাহ পরে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একটি শালিস দরবারে বসেন। দরবারে সর্বসম্মতিক্রমে শহীদের একলক্ষ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা পরিশোধের জন্য ১০ দিনের সময় নেন শহীদের তিন ভাই আবু হানিফ ও ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে প্রবাসী সুমন ও শাহপরান। দরবারের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ধার্যকৃত জরিমানার টাকা পরিশোধ না করে শহীদ ও তার ভাইয়েরা উল্টো মহিন ও শালিসদারদেরকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। এদিকে জরিমানার টাকা আদায় করে হতদরিদ্র মহিনের চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং চিহ্নিত মাদকসেবী ও চাঁদাবাজ শহীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।
অপরদিকে শহীদ ও তার ভাই হানিফের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেছেন আমানউল্লাহ নামের এক প্রবাসী। চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের কৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আঠার বাঁক গ্রামের মৃত মিন্নত আলীর ছেলে কাতার প্রবাসী আমান উল্লাহ নিজ বাড়িতে ঘর নির্মাণ করছিলেন। এখানে ঘর নির্মাণ করতে হলে শহীদ কে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দিতে থাকে। টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় এসে নির্মাণ শ্রমিকদের কে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। গত ১২ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় কাদৈর বাজার থেকে আসা পথে শহীদ ও তার বাহিনী ওই এলাকার টুকু সওদাগরের বাড়ির সামনে পথরোধ করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আগামী তিন দিনের মধ্যে টাকা না পাইলে প্রবাসী আমান উল্লাহ ও তার পরিবার কে হত্যা করার হুমকি দেয়। বিষয় টি শহীদের বড় ভাই হানিফ কে জানাইলে সেও ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে হুমকি দিতে থাকে। এর আগেও শহীদের বিরুদ্ধে প্রবাসী আমান উল্লাহ
কুমিল্লার আদালতে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ভবিষ্যতে আর এমন আচরণ করবে না মর্মে শহীদ আদালতে মুচলেকা দিয়ে আসে।
চিহ্নিত মাদকসেবি ও চাঁদাবাজ শহীদ এবং তার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মহিন বলেন আমি আজ অসহায়, পঙ্গুত্ব বরণ করে দিন কাটছে। প্রতিনিয়ত শহিদ ও তার বড় ভাই আবু হানিফের প্রাণনাশের হুমকি ধমকিতে দিন কাটছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা চাই, আমার বৃদ্ধ মা বাবা সহ আমি বাঁচতে চাই। আমি থানা পুলিশ ও এলেকাবাসীর সাহায্য চাই।

এই দিকে শহিদের বিচারের দাবীতে আজ ০৩ জুন সকালে আঠারবাঁকে ৭০/৭৫ জন গর্ণমান্য ব্যাক্তিবর্গ চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হিলাল উদ্দিনের সাথে স্বাক্ষাত করেন, গ্রামবাসী এই সময়ে মহিনের অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এবং মাদক থেকে গ্রামবাসী কে বাঁচাতে সাহায্য প্রার্থণা করেন। তার বড় ভাই হানিফ ও একজন প্রতারক ও মাদক কারবারি। শহিদ কে মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করে। এলাকাবাসীর অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে রয়েছে।

এই সময়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এই বিষয়ে শালিশের বিচারক স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন অপু বলেন আমার সভাপতিত্বে বিচার হয়। রায় মানার জন্য এবং মহিনের চিকিৎসার জন্য টাকা চাইলে দিবে না বলে অস্বীকার করেন। গ্রামবাসী তার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর প্রদান করেন।