, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা-জরিমানা নাচনমহলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত ঢাকায় জাতীয় সমাবেশ সফল করতে কুমিল্লায় জামায়াতের গণমিছিল চৌদ্দগ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুর, আহত ৩ চৌদ্দগ্রামে যুবদল নেতার হাতে চিকিৎসক লাঞ্চিত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে দেবিদ্বারে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল  গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশস্থলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় কৃতিত্বপূর্ণ কাজে স্বীকৃতি পেলেন যে সকল অফিসার চৌদ্দগ্রামে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা-জরিমানা

 কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযানে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় মুন্সীরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকালে উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের মুন্সীরহাট বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: জামাল হোসেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: রশিদ আহমেদ চৌধুরী তোফায়েল, থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মো: সোলায়মানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের (স্বাস্থ্য) দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে ভ্রাম্যমান আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

এ সময় শুধুমাত্র একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান দ্বারাই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সকল ধাপের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জনস্বার্থ এবং জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মুন্সীরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়। জানা গেছে, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যিনি রিসিপশনিস্ট এর দায়িত্ব পালন করছেন তিনিই আবার স্যাম্পল সংগ্রহ, ল্যাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সহ পরীক্ষার সকল রিপোর্ট প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। এছাড়াও এক্স-রে থেকে শুরু করে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা তিনি একাই করছেন এবং রিপোর্ট প্রস্তুত করে তা সেবা প্রত্যাশীদের নিকট বিতরণ করছেন। এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা প্যাথলজিস্ট পাওয়া না যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। এছাড়াও জনবল সংকট এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অভিযোগে মুন্সীরহাট নেছারিয়া জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে ওই হাসপাতালকে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি জনবল সংকট দূর করতে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই আরোপিত অর্থদন্ড তৎক্ষণাৎ আদায় করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জামাল হোসেন বলেন, সেবা গ্রহীতাদের সাথে প্রতারণা, প্রয়োজনীয় লোকবল ছাড়া ও স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বিহীন হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার দায়ে বুধবার বিকালে মুন্সীরহাটে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দু’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়। জনস্বার্থে এবং সাধারণ জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

জনপ্রিয়

চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা-জরিমানা

চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা-জরিমানা

প্রকাশের সময় : ১৩ ঘন্টা আগে

 কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযানে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় মুন্সীরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকালে উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের মুন্সীরহাট বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: জামাল হোসেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: রশিদ আহমেদ চৌধুরী তোফায়েল, থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মো: সোলায়মানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের (স্বাস্থ্য) দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে ভ্রাম্যমান আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

এ সময় শুধুমাত্র একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান দ্বারাই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সকল ধাপের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জনস্বার্থ এবং জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মুন্সীরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়। জানা গেছে, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যিনি রিসিপশনিস্ট এর দায়িত্ব পালন করছেন তিনিই আবার স্যাম্পল সংগ্রহ, ল্যাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সহ পরীক্ষার সকল রিপোর্ট প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। এছাড়াও এক্স-রে থেকে শুরু করে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা তিনি একাই করছেন এবং রিপোর্ট প্রস্তুত করে তা সেবা প্রত্যাশীদের নিকট বিতরণ করছেন। এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা প্যাথলজিস্ট পাওয়া না যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। এছাড়াও জনবল সংকট এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অভিযোগে মুন্সীরহাট নেছারিয়া জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে ওই হাসপাতালকে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি জনবল সংকট দূর করতে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই আরোপিত অর্থদন্ড তৎক্ষণাৎ আদায় করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জামাল হোসেন বলেন, সেবা গ্রহীতাদের সাথে প্রতারণা, প্রয়োজনীয় লোকবল ছাড়া ও স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বিহীন হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার দায়ে বুধবার বিকালে মুন্সীরহাটে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দু’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়। জনস্বার্থে এবং সাধারণ জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।’