
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের উত্তমাবাদ ও ঈশ্বরকাঠি গ্রামে তীব্র হচ্ছে সুগন্ধা নদীর ভাঙন। দীর্ঘদিনের ভাঙনে বসতঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অসংখ্য মানুষের বসতঘর হুমকির মুখে। এই পরিস্থিতিতে ভাঙন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার বেলা ১২টায় ভাঙন কবলিত সুগন্ধা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয় শতাধিক নারী-পুরুষ।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা জানান, বছরের পর বছর ধরে ভাঙনে ঘরবাড়ি, স্কুল-মাদ্রাসা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন যা অবশিষ্ট আছে, তা-ও হারানোর শঙ্কায় আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই এলাকায় কোনো বেরিবাঁধ নেই। বর্ষা বা বন্যা এলেই পানি ঢুকে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে এই দুই গ্রাম মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াররম্যান আব্দুল হক হাওলাদার, ইউপি সদস্য নুরই আলম মানিক, সমাজকর্মী ডলি আক্তার ও নাজমুল হাসান টিটুসহ আরও অনেকে। বক্তারা অবিলম্বে নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙনের কথা জানানো হলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, দ্রæত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে নিঃশেষ হয়ে যাবে উত্তমাবাদ ও ঈশ্বরকাঠি গ্রামের অস্তিত্ব
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয়পাশা জানান, উত্তমাবাদ ও ঈশ্বরকাঠি গ্রামের পাশেই নদীভাঙন রোধে কাজ চলছে। আমরা এ দুটি গ্রাম রক্ষায় প্রকল্প করে পাঠাবো। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে।