, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ময়মনসিংহে গ্রামীণ অবকাঠামো ২শত কোটি টাকার ১৮৩ প্রকল্প অনুমোদনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চৌদ্দগ্রামে সামাজিক শালিস-বৈঠকে দুবাই প্রবাসীর ওপর হামলা, থানায় মামলা চৌদ্দগ্রাম মডেল কলেজের এইচএসসি ফলাফলে চরম বিপর্যয় ৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন চৌদ্দগ্রামে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ইউএনও’র সাথে সাংবাদিক সমিতির মতবিনিময় অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির সময় জনতার হাতে আটক ৩ গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলো স্থানীয়রা এদেশে আর কাউকে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেওয়া হবে না চৌদ্দগ্রামে শ্রীপুর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকতায় সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের মানুষিকতা থাকতে হবে প্রশিক্ষণ কর্মশালায়-শিবলী সাদিক খান

ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা, থানায় জিডি, সাংবাদিক মহলে নিন্দা

চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানাধীন ঝাউতলা এলাকায় ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ রুবেল নামে এক সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন। তিনি দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ)–এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার পর তিনি খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ভুক্তভোগী মো.রুবেল অভিযোগে উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার সকালবেলা তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে এলাকায় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সচেতনতা মূলক মন্তব্য করা হয়। এরপর রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে ঝাউতলা বাজার রোড দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী হোসেন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সড়কের পাশে ‘ঝলক ক্লাব’–এর অন্ধকার গলিতে জোড়পূর্বক নিয়ে যায়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেনো স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে অকথ্যভাষায় গালমন্দ দিয়ে মব সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত জসিম প্রকাশ গাঞ্জা ব্যবসায়ী জসিম অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে সাংবাদিক রুবেল এর মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে কিলঘুষি মারতে শুরু করে। অপর অভিযুক্ত হোসেন সাংবাদিক রুবেলের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি কেড়ে নিতে চায়। একপর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের চেষ্টা করে।

রুবেল জানান, তার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় তাকে প্রাণনাশসহ নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার পর মো. রুবেল সিএমপি’র ‍খুলশী থানায় উপস্থিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।

এই বিষয়ে খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফতাব হোসেন বলেন, “অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এদিকে, একজন পেশাদার সাংবাদিকের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা নিন্দা জানিয়ে বলেন “এই হামলা শুধু একজন সাংবাদিকের ওপর নয়, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের অধিকারের ওপরও হামলা। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা ক্রমাগতভাবে হামলা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এসব বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এ বিষয়ে সাংবাদিক রুবেল বলেন, “আমি কোনো ব্যক্তি বিশেষকে উদ্দেশ্য করে কিছু লিখিনি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। তবুও আমার উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমি এবং আমার পরিবার এখন আতঙ্কে রয়েছি।”

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যেও উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

ময়মনসিংহে গ্রামীণ অবকাঠামো ২শত কোটি টাকার ১৮৩ প্রকল্প অনুমোদনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা, থানায় জিডি, সাংবাদিক মহলে নিন্দা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী থানাধীন ঝাউতলা এলাকায় ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ রুবেল নামে এক সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন। তিনি দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ)–এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার পর তিনি খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ভুক্তভোগী মো.রুবেল অভিযোগে উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার সকালবেলা তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে এলাকায় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সচেতনতা মূলক মন্তব্য করা হয়। এরপর রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে ঝাউতলা বাজার রোড দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী হোসেন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সড়কের পাশে ‘ঝলক ক্লাব’–এর অন্ধকার গলিতে জোড়পূর্বক নিয়ে যায়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেনো স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে অকথ্যভাষায় গালমন্দ দিয়ে মব সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত জসিম প্রকাশ গাঞ্জা ব্যবসায়ী জসিম অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে সাংবাদিক রুবেল এর মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে কিলঘুষি মারতে শুরু করে। অপর অভিযুক্ত হোসেন সাংবাদিক রুবেলের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি কেড়ে নিতে চায়। একপর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের চেষ্টা করে।

রুবেল জানান, তার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় তাকে প্রাণনাশসহ নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার পর মো. রুবেল সিএমপি’র ‍খুলশী থানায় উপস্থিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।

এই বিষয়ে খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফতাব হোসেন বলেন, “অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এদিকে, একজন পেশাদার সাংবাদিকের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা নিন্দা জানিয়ে বলেন “এই হামলা শুধু একজন সাংবাদিকের ওপর নয়, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের অধিকারের ওপরও হামলা। যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা ক্রমাগতভাবে হামলা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এসব বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এ বিষয়ে সাংবাদিক রুবেল বলেন, “আমি কোনো ব্যক্তি বিশেষকে উদ্দেশ্য করে কিছু লিখিনি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। তবুও আমার উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমি এবং আমার পরিবার এখন আতঙ্কে রয়েছি।”

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যেও উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।